Wednesday, November 9, 2016

এন্টিবায়োটিক হোমিওপ্যাথি ঔষধ।

Antibiotic and their mighty homeopathic
alternative (এন্টিবায়োটিক এবং
তাদের শক্তিশালী হোমিওপ্যাথিক
বিকল্প)- কেবল সেই সব ঔষধকেই
এন্টিবায়োটিক বলা হয় যারা রোগের
সাথে সম্পর্কিত জীবাণুকে হত্যা বা
জীবাণুর বংশবৃদ্ধি বন্ধ করতে পারে।
সত্যি বলতে কি, এন্টিবায়োটিক
গ্রুপের ঔষধসমূহ আবিষ্কৃত হওয়ার
কারণেই এলোপ্যাথি এখনও দুনিয়ায়
টিকে আছে। সে যাক,
হোমিওপ্যাথিতে এন্টিবায়োটিক
নামে ঔষধের কোন গ্রুপ নাই বটে ; তবে
বেশ কিছু হোমিও ঔষধ আছে যাদেরকে
লক্ষণ মিলিয়ে প্রয়োগ করতে পারলে
দেখা যাবে, এরা বাজারের যে-কোন
হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকের
চাইতেও ভালো এবং দ্রুত কাজ করছে।
যেমন - Aconitum napellus, Arsenic album,
Belladonna, Baptisia, Phosphorus,
Lachesis, Ferrum Phosphoricum,
Pulsatilla, Hepar sulph, Mercurius solubilis,
Arnica, Veratrum album, Kali bichromicum,
Pyrogenium কিংবা Echinacea
angustifolia ঔষধগুলিকে বিপদজ্জনক
পরিস্থিতিতে হোমিও
এন্টিবায়োটিকরূপে ব্যবহার করতে
পারেন। এদের বাইরেও আরো অনেক
হোমিও ঔষধ আছে, যাদেরকে লক্ষণ
মিলিয়ে প্রয়োগ করলে
এন্টিবায়োটিকের মতো ফল পাবেন।
সাধারণত
মারাত্মক
কোন
জীবাণুর
আক্রমণ
(infection)
নিয়ন্ত্র্রণ
এবং
নিমূর্ল
করতে
যে-
কোন
হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকেরও
দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায় ;
কিন্তু যদি ঠিক-ঠাক মতো লক্ষণ
মিলিয়ে হোমিও ঔষধগুলো উচ্চ
শক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন, তবে
দেখবেন দু’য়েক ঘণ্টার মধ্যেই যে-কোন
মারাত্মক ইনফেকশানও কন্ট্রোলে
এসে যায়। আরেকটি কথা হলো
এন্টিবায়োটিকগুলো সাধারণত
ব্যাকটেরিয়া (bacteria) নিধন করতে
পারে কিন্তু ভাইরাস (virus) দমন করতে
পারে না ; কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো
যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে
সেগুলো ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস-
ফাংগাস সবই মুহূর্তের মধ্যে বিনাশ
করে দিবে। এলোপ্যাথিতে যদিও
অল্পকিছু এন্টিভাইরাল ঔষধও আছে,
কিন্তু দাম এতো বেশী যে তাতে
রোগীদের ভিটেমাটি বিক্রি করা
লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে
এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে রক্তের
কালচার টেস্ট (CS - Culture & Sensitivity)
করে জানতে হয়, কোন জাতের-
বেজাতের জীবাণু আক্রমণ করেছে
এবং কোন এন্টিবায়োটিকে তাকে
মারা সম্ভব ! কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো
ঠিকমতো লক্ষণ মিলিয়ে দিতে
পারলে জীবাণু নিশ্চিতই বিনাশ
হবে, তাদের জাত-কুল জানা যাক আর
না যাক। তাছাড়া হাই-পাওয়ারের
এন্টিবায়োটিকগুলোর সাইড-ইফেক্ট
এতই মারাত্মক যে, তাতে যে-কারো
অকাল মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে। এগুলো
মস্তিষ্ক (brain) বা স্নায়ুতন্ত্রের
(nervus system) এবং হাড়ের
মেরুমজ্জার (bone-marrow) এতই ক্ষতি
করে যে, তাতে যে-কেউ
প্যারালাইসিস, ব্রেন ড্যামেজ, ব্লাড
ক্যানসার, সারাজীবনের জন্য
কংকালসার (emaciation) হয়ে যেতে
পারেন। কিন্তু হোমিও ঔষধগুলোর
মধ্যে এমন জঘন্য ধরনের কোন সাইড-
ইফেক্ট নাই ; এমনকি ছোট্ট শিশুরাও
যদি ভুল ঔষধ খেয়ে ফেলে তাতেও না।
আরেকটি কথা হলো,
এন্টিবায়োটিকগুলো ক্ষতিকর
জীবাণুর সাথে সাথে আমাদের
শরীরের অনেক উপকারী জীবাণুকেও
বিনাশ করে দেয় ; কিন্তু হোমিও
ঔষধগুলো উপকারী জীবাণু হত্যা করে
না। এজন্য অনেক বিজ্ঞানী
এন্টিবায়োটিককে মনে করেন
আন্দাজে বোমা মারার সমান ; যাতে
দুশমনও মরে আবার নিরীহ মানুষও মরে
আবার কখনও কখনও বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-
স্বজনও মরে সাফ হয়ে যায়।
(১) Aconitum napellus :- যে-কোন রোগই
হউক না কেন, যদি সেটি হঠাৎ শুরু হয়
এবং শুরু থেকেই মারাত্মকরূপে দেখা
দেয় অথবা দুয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি
মারাত্মক আকার ধারণ করে, তবে
একোনাইট হলো শ্রেষ্ট
এন্টিবায়োটিক। রোগের উৎপাত এত
বেশী হয় যে, তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে
ভীত হয়ে পড়ে।
(২) Bryonia alba : যদি রোগীর গলা
শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে, নড়াচড়া
করলে রোগীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়,
পায়খানা শক্ত হয়ে যায় ইত্যাদি
লক্ষণ থাকে, তবে হোক না তা
টাইফয়েড-নিউমোনিয়া-
এপেন্ডিসাইটিস বা আরো মারাত্মক
কোন ইনফেকশান, ব্রায়োনিয়া হবে
তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। উচ্চ
শক্তিতে (১০০০, ১০০০০, ৫০০০০) এক ডোজ
ব্রায়োনিয়া খাইয়ে দিন ; সম্ভবত
দ্বিতীয় ডোজ খাওয়ানোর আর
প্রয়োজন হবে না।
(৩) Belladonna : যে-কোন রোগে যদি
সারা শরীরে বা আক্রান্ত স্থানে
উত্তাপ বেশী থাকে, যদি আক্রান্ত
স্থান লাল হয়ে যায়, শরীর জ্বালা-
পোড়া করতে থাকে, তবে বেলেডোনা
হলো তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। যে-
কোন রোগের সাথে যদি রোগী
প্রলাপ বকতে থাকে (অর্থাৎ
এলোমেলো কথা বলতে থাকে), তবে
বুঝতে হবে যে রোগীর ব্রেনে
ইনফেকশান হয়েছে এবং এসব ক্ষেত্রে
বেলেডোনা হলো তার সেরা
এন্টিবায়োটিক।
(৪) Arsenicum album : যে-কোন রোগে
বা ইনফেকশনের সাথে যদি রোগীর
মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা (অর্থাৎ রোগী
নড়াচড়া ছাড়া থাকতে পারে না),
শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভীষণ
জ্বালা-পোড়া ভাব, অল্পতেই রোগী
দুর্বল-কাহিল-নিস্তেজ হয়ে পড়ে,
অতিমাত্রায় মৃত্যুভয়, রোগী মনে করে
ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই- তার মৃত্যু
নিশ্চিত ইত্যাদি লক্ষণ থাকে, তবে
আর্সেনিক হলো তার শ্রেষ্ট
এন্টিবায়োটিক।
(৫) Baptisia tinctoria : যদিও
ব্যাপটিশিয়া ঔষধটি
হোমিওপ্যাথিতে টাইফয়েড জ্বরের
চিকিৎসায় বেশী ব্যবহৃত হয় কিন্তু এই
ঔষধটির লক্ষণসমূহ পাওয়া গেলে যে-
কোন মারাত্মক ধরনের ইনফেকশনে
এটি চমৎকার এন্টিবায়োটিকের কাজ
দেবে। ব্যাপটিশিয়ার প্রধান প্রধান
লক্ষণ হলো অবশ অবশ ভাব, এখনই
প্যারালাইসিস হয়ে যাবে এমন ভয়
হওয়া, চেতনা আধা লোপ পাওয়া
(অনেকটা মাতালদের মতো), সারা
শরীরে যেন ঘা হয়ে গেছে এমন ব্যথা,
মুখ থেকে এবং নিঃশ্বাসে মরা
লাশের গন্ধ, ঘুমঘুম ভাব, কথা শেষ
করার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে, মনে হয় তার
শরীর টুকরা টুকরা হয়ে সারা ঘরে
ছড়িয়ে আছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
(৬) Ferrum phosphoricum : ফেরাম ফস
ঔষধটি যে-কোন নতুন ইনফেকশানে
ব্যবহার করে দারুণ ফল পাবেন।
ইনফেকশনের মূল ঝামেলা হলো
স্থানীয় রক্ত সঞ্চয় (Local congestion)
এবং ফেরাম ফস কনজেশান দূর করতে
সেরা ঔষধ। সাধারণত অন্যকোন ঔষধের
লক্ষণ পাওয়া না গেলে যে-কোন
ইনফেকশনে ফেরাম ফস একটি উৎকৃষ্ঠ
এন্টিবায়োটিকের কাজ দেবে।
(৭) Hepar sulph : হিপার সালফ চর্ম
(skin) এবং কোমল কলাতন্তু (soft tissue)
একটি শ্রেষ্ঠ এন্টিবায়োটিক।
সাধারণত ফোড়া (abscess), দাঁতের
গর্তের (caries) ইনফেকশান,
ইরিসিপেলাস (erysipelas), কান পাকা
(otitis media) ইত্যাদি রোগে ইহার
প্রয়োগ বেশী হয়ে থাকে।
পাশাপাশি ফুসফুসের রোগেও এটি
একটি সেরা এন্টিবায়োটিক। কাশি,
হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, হুপিং কাশি
ইত্যাদি রোগেও হিপারের কথা এক
নাম্বারে মনে রাখা দরকার। হিপার
সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো
আক্রান্ত স্থানে এতো ব্যথা থাকে
যে স্পর্শই করা যায় না এবং ঠান্ডা
বাতাসে রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
(৮) Arnica montana : আমরা সবাই জানি
যে, আঘাতের ব্যথার জন্য আনির্কা
একটি শ্রেষ্ঠ ঔষধ। কিন্তু আনির্কা যে
একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক বা
জীবাণু বিনাশী ঔষধ তা আমরা
অনেকেই জানি না। টাইফয়েড,
নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি ইত্যাদির
মতো মারাত্মক ইনফেকশনেও লক্ষণ
থাকলে চোখ বুজে আনির্কা দিতে
পারেন। সাধারণত যে-কোন ধরনের
আঘাত, থেতলানো, মচকানো,
মোচড়ানো, ঘুষি, লাঠির আঘাত বা
উপর থেকে পড়ার কারণে কোন
ইনফেকশান বা ক্ষত হলে ; এমনকি
গ্যাংগ্রিন হলেও আনির্কা হবে তার
শ্রেষ্ঠ এন্টিবায়োটিক। আনির্কার
প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো আক্রান্ত
স্থানে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে,
কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই
সে ভয় পেয়ে যায় (কারণ ধাক্কা
লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ
বেরিয়ে যাবে), রোগী ভীষণ অসুস্থ
হয়েও মনে করে তার কোন অসুখ নেই,
সে ভালো আছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
(৯) Mercurius solubilis : মার্ক সল একটি
বহুমুখী কাযর্সম্পন্ন (multi-functional)
হোমিওপ্যাথিক এন্টিবায়োটিক।
ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর
ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না,
ঘামে এবং মুখে দুর্গন্ধ থাকে,
পায়খানা করার সময় কোথানি লাগে,
অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে
যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। মারকারী
গ্রুপের অন্যান্য ঔষধগুলিও একই রকম
এন্টিবায়োটিক ক্ষমতাসম্পন্ন ঔষধ।
যেমন- Mercurius Corrosivus, Mercurius
Dulcis, Mercurius Iodatus Flavus, Mercuric
Potassium Iodide, Mercurius Vivus
ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রয়োজনের সময়
যে-টাই হাতের কাছে পান, ব্যবহার
করতে পারেন।
(১০) Lycopodium clavatum :
লাইকোপোডিয়াম একটি প্রথম
শ্রেণীর হোমিওপ্যাথিক
এন্টিবায়োটিকের মযার্দা রাখে।
ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো
রোগের মাত্রা বিকাল ৪-৮ টার সময়
বৃদ্ধি পায়, এদের রোগ ডান পাশে
বেশী হয়, এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়,
এদের সারা বৎসর প্রস্রাবের বা
হজমের সমস্যা লেগেই থাকে, এদের
দেখতে তাদের বয়সের চাইতেও বেশী
বয়ষ্ক মনে হয়, এদের স্বাস্থ্য খারাপ
কিন্তু ব্রেন খুব ভালো, এরা খুবই
সেনসিটিভ এমনকি ধন্যবাদ দিলেও
কেদে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি।
(১১) Veratrum album : রোগী যে-কোন
মুহূর্তেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে
পারে এমন মারাত্মক ধরণের
ইনফেকশনে ভিরেট্রাম এলবামের উপর
নির্ভর করতে পারেন। ইহার প্রধান
প্রধান লক্ষণ হলো রোগী খুব
তাড়াতাড়ি দুর্বল হয়ে শয্যাশায়ী
হয়ে পড়ে, ঠান্ডা ঘাম ঝরে এবং
নিঃশ্বাসেও ঠান্ডা বাতাস বেরোয়,
চামড়া নীল বা বেগুনী রঙ ধারন করে,
চামড়া ঠান্ডা এবং কুচঁকে (কুঞ্চিত)
যায়, শরীরের কোথাও চাপ দিলে
সেখানে গর্ত হয়ে যায়, হাত-পা-মুখ
বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায় ইত্যাদি
ইত্যাদি।
(১২) Kali bichromicum : ক্যালি
বাইক্রোম হলো নাক-কান-গলার
রোগের একটি শ্রেষ্ঠ এন্টিবায়োটিক।
ইহার প্রধান লক্ষণ হলো কফ, থুথু, বমি,
নাকের শ্লেষ্মা ইত্যাদি খুবই
আঠালো হয় এবং কোন কাঠিতে (বা
আঙুলে) লাগিয়ে টানলে রশির /
সুতোর মতো লম্বা হয়ে যায়, ব্যথা
আঙুলের মাথার মতো খুবই অল্প
জায়গায় হয়ে থাকে, ব্যথা ঘন ঘন
জায়গা বদল করে, ঘায়ের / ক্ষতের
চেহারা থাকে খাচকাটা ধারালো
ইত্যাদি ইত্যাদি।
(১৩) Ipecac : ইপিকাক সাধারণত
পেটের অসুখ এবং ফুসফুসের অসুখের
একটি সেরা এন্টিবায়োটিক। ইহার
প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো বমি থাকে
অথবা বমিবমি ভাব থাকে এবং
জিহ্বা পরিষ্কার থাকে।
(১৪) Pulsatilla pratensis :
পালসেটিলাকে বলা যায় একটি
বহুমুখী কাযর্সম্পন্ন (multi-functional)
হোমিওপ্যাথিক এন্টিবায়োটিক।
ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গলা
শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি
পিপাসা থাকে না, ঠান্ডা বাতাস-
ঠান্ডা খাবার-ঠান্ডা পানি পছন্দ
করে, গরম-আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে
রোগীনী বিরক্ত বোধ করে,
আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে
এবং যত দিন যায় ততই মোটা হতে
থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি।
(১৫) Cantharis : ক্যান্থারিস প্রধানত
মূত্রতন্ত্রের ইনফেকশনের জন্য একটি
শ্রেষ্ঠ এন্টিবায়োটিক। ইহার প্রধান
প্রধান লক্ষণ হলো জ্বালা-পোড়া এবং
ছিড়ে ফেলার মতো ব্যথা। কাজেই
ভীষণ জ্বালাপোড়া থাকলে যে-কোন
রোগে ক্যান্থারিস ব্যবহার করতে
পারেন। এটি জলাতঙ্ক রোগের জন্যও
একটি শ্রেষ্ট এন্টিভাইরাল ঔষধ। অল্প
থেকে বেশী যে-কোন ধরনের পোড়ার
(burn) ব্যথা এবং ইনফেকশান দূর করতে
ক্যান্থারিসের জুড়ি নাই।
(১৬) Eupatorium perfoliatum :
ইউপেটোরিয়াম পারফো নামক ঔষধটি
আরেকটি উৎকৃষ্ঠ এন্টিবায়োটিক।
ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো
শরীরে এমন প্রচণ্ড ব্যথা থাকে যেন
মনে হয় কেউ শরীরের সমস্ত হাড়
পিটিয়ে গুড়োঁ করে দিয়েছে, পানি
বা খাবার যাই পেটে যায় সাথে
সাথে বমি হয়ে যায় ইত্যাদি
ইত্যাদি।
(১৭) Echinacea angustifolia :
ইচিনেশিয়া'কে বলা হয় একেবারে
হোমিওপ্যাথিক এন্টিবায়োটিক। যে-
কোন ধরনের পুরনো বা দীঘর্মেয়াদী
ইনফেকশানে ইচিনেশিয়া ব্যবহার
করতে পারেন। যেমন - অনেক দিনের
পুরনো ঘা, কাশি, জ্বর ইত্যাদি যা
অন্যান্য অনেক ঔষধ প্রয়োগেও
পুরোপুরি সারেনি।
(১৮) Pyrogenium : পাইরোজিনিয়াম
একেবারে আগাগোড়াই
এন্টিবায়োটিক গুণসম্পন্ন ঔষধ ;
কেননা এটি তৈরীই করা হয়েছে
জীবাণু থেকে (nosode)। যে-কোন
ধরনের নতুন বা পুরনো, স্বল্পমেয়াদী
বা দীঘর্মেয়াদী ইনফেকশানে
পাইরোজিনিয়াম ব্যবহার করতে
পারেন।

No comments:

Post a Comment