Wednesday, November 16, 2016

জ্বরে হোমিওপ্যাথিক সুচিকিৎসাঃ

হোমিওপ্যাথি হলো লক্ষণ ভিত্তিক
চিকিৎসা বিজ্ঞান। এতে রোগের
নামের কোন মূল্য নাই। তাই জ্বরের ঔষধও
নির্বাচন করতে হবে জ্বরের লক্ষণ
অনুসারে ; জ্বরের নাম অনুসারে নয়।
জ্বরের নাম বার্ড ফ্লু, টাইফয়েড,
ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু নাকি কালাজ্বর-
এসবের কোন গুরুত্ব নাই
হোমিওপ্যাথিতে। ঔষধ যদি জ্বরের
লক্ষণের সাথে মিলিয়ে দিতে পারেন,
তবে সেটি ভাইরাস জ্বরও খতম করে
দিবে অথবা টাইফয়েড বা অন্য যে-কোন
নামের জ্বরই হউক, নির্মূল করে দিবে।
জ্বরের তাপ যখন খুব বেশী থাকে, তখন
ঔষধ খেতে নাই। এতে জ্বরের তাপ আরো
বেড়ে যেতে পারে। কাজেই জ্বরের তাপ
যখন কিছুটা কমে আসে, তখন ঔষধ খাওয়া
উচিত। তবে যে-সব জ্বরে উচ্চতাপমাত্রা
এক নাগাড়ে চলতে থাকে, তাপ কমেই না
; সে-সব জ্বরে বেশী তাপমাত্রার মধ্যেও
ঔষধ খাওয়াতে হবে। জ্বরের তাপমাত্রা
যদি খুব বেশী থাকে, তবে ঔষধ
খাওয়ানোর সাথে সাথে মাথায় ঠান্ডা
পানি ঢালতে হবে, গামছা/তোয়ালে
ভিজিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে ঘনঘন।
কিছু জ্বর এমন আছে (যেমন ভাইরাস জ্বর)
যা একদিন, দুইদিন বা তিনদিনের কমে
নিয়নত্রণে আসে না। সেক্ষেত্রে লক্ষণ
মিলিয়ে যে ঔষধ প্রযোজ্য হয়, সেটি
খাওয়ানো বন্ধ করবেন না।
জ্বর না কমার কারণে ঔষধ নির্বাচন ভুল
হয়েছে মনে করে অযথা ঘনঘন ঔষধ
পরিবর্তন করবেন না। হ্যাঁ, রোগ লক্ষণ
যদি পরিবর্তন হয়ে যায়, তবে নতুন লক্ষণ
যেই ঔষধের সাথে মিলে সেটি
খাওয়ানো শুরু করুন। যেমন প্রচণ্ড তাপ,
অস্থিরতা, মৃত্যুভয় ইত্যাদি লক্ষণ নিয়ে
জ্বর শুরু হওয়ায় একোনাইট খাওয়ালেন;
দুদিন পর দেখা গেলো রোগী রোগীর
অস্থিরতা, মৃত্যুভয় ইত্যাদি লক্ষণে চলে
গেছে, সে বেহুঁশের মতো পড়ে থাকে,
এখন একোনাইট বন্ধ করে জেলসিমিয়াম
খাওয়ানো শুরু করা উচিত। স্বাভাবিক
অন্যান্য খাবারের সাথে চিনি লেবু
দিয়ে শরবত করে খাওয়াবেন ঘনঘন ; এতে
শরীরে দুর্বলতা আসতে পারবে না।
জ্বরের রোগী যদি অদ্ভুত কিছু খেতে চায়
এবং সেটি যদি তার জন্য ক্ষতিকর না হয়,
তবে তাকে খেতে দেওয়া উচিত। যেমন
জ্বরের সাথে যদি কারো গ্যাস্ট্রিক
আলসার থাকে আর সে যদি লেবু খেতে
চায় তবে দুয়েক বার খেতে দেওয়া যেতে
পারে কিন্তু ইহার বেশী ঠিক হবে না।
Aconitum napellus :- একোনাইট হলো
হোমিওপ্যাথিতে জ্বরের এক নাম্বার
ঔষধ। যে-কোন রোগই হউক (জ্বর-কাশি-
ডায়েরিয়া-আমাশয়-পেট ব্যথা-মাথা
ব্যথা-শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি), যদি শুরু থেকেই
মারাত্মক রূপে দেখা দেয়, তবে
একোনাইট হলো তার এক নাম্বার ঔষধ।
একোনাইটকে তুলনা করা যায় ঝড়-তুফান-
টর্নেডোর সাথে- প্রচণ্ড কিন্তু
ক্ষণস্থায়ী। জ্বরও যদি তেমনি হঠাৎ করে
মারাত্মক আকারে শুরু হয়, তবে একোনাইট
সেবন করুন। যে-সব জ্বর আসেত আসেত শুরু
হয় বা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, সে-সব
রোগে একোনাইট খেতে পারেন। তাতে
জ্বর পুরোপুরি না সারলেও অন্তত নব্বই
ভাগ নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। পরবর্তীতে
লক্ষণ অনুযায়ী অন্য ঔষধ প্রয়োগ করতে
পারেন। একোনাইটের জ্বরের লক্ষণ হলো
প্রথম থেকেই ভীষণ উত্তাপ নিয়ে জ্বর
শুরু হয়, রোগী অস্থির হয়ে পড়ে, জ্বরের
উৎপাত এত বেশী হয় যে তাতে রোগী
মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। যে-কোন
জ্বরের শুরু থেকে একোনাইট খাওয়াতে
থাকলে জ্বর একশভাগ যদি নাও সারে
অন্তত নিয়নত্রণে চলে আসবে এবং
জ্বরের গতি খারাপের দিকে যেতে
পারবে না। হ্যাঁ, জ্বরের উত্তাপ কমে
আসলে অর্থাৎ জ্বরের তীব্রতা হ্রাস
পেলে একোনাইট সেবন বন্ধ করে দিবেন।
একোনাইট প্রয়োগের পর যদি জ্বর দুর্বল
হয়ে যায় কিন্তু পুরোপুরি না সারে,
সেক্ষেত্রে দুয়েক মাত্রা সালফার
(Sulphur) ঔষধটি খাওয়াতে পারেন।
Bryonia alba : ব্রায়োনিয়ার জ্বরের
প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর ঠোট-জিহ্বা-
গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে এবং প্রচুর
পানি পিপাসা থাকে এবং রোগী
অনেকক্ষণ পরপর একসাথে প্রচুর ঠান্ডা
পানি পান করে। রোগী অন্ধকার এবং
নড়াচড়া অপছন্দ করে ; কারণে এতে তার
কষ্ট বৃদ্ধি পায়। কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয়
অর্থাৎ পায়খানা শক্ত হয়ে যায়। রোগীর
মেজাজ খুবই বিগড়ে থাকে এবং সে
একলা থাকতে পছন্দ করে (কারণ মানুষ
কাছে থাকলেই তাকে নড়াচড়া করতে
হতে পারে, যাতে তার কষ্ট বেড়ে
যাবে)। প্রলাপ বকার সময় তারা
সারাদিনের পেশাগত কাজের কথা
বলতে থাকে।
Rhus toxicodendron : রাস টক্সের জ্বরের
প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা।
রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে, এক
পজিশনে বেশীক্ষণ সিহর থাকতে পারে
না। রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে,
তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার
গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালিতেছে। শরীরে
প্রচুর ব্যথা থাকে এবং শরীর মোচড়াতে
ভালো লাগে। এই কারণে শুয়ে থাকলেও
সে নড়াচড়া করে এবং এপাশ ওপাশ করতে
থাকে। বর্ষাকাল, ভ্যাপসা আবহাওয়া
বা ভিজা বাতাসের সময়কার যে-কোন
জ্বরে রাস টক্স এক নাম্বার ঔষধ। রাস
টক্সের জ্বর সাধারণ রাতে বেলা বেড়ে
যায়। রাস টক্স খাওয়ার সময় ঠান্ডা
পানিতে গোসল বা ঠান্ডা পানিতে
গামছা ভিজিয়ে শরীর মোছা যাবে না।
কেননা ঠান্ডা পানিতে রাস টক্সের
একশান নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য কুসুম কুসুম
গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
Belladonna : তিনটি লক্ষণের উপর ভিত্তি
করে বেলেডোনা ঔষধটি প্রয়োগ করা
হয়ে থাকে, যথা-উত্তাপ, লাল রঙ এবং
জ্বালা-পোড়া ভাব। জ্বরে যদি উত্তাপ
বেশী থাকে, জ্বরে যদি মুখমন্ডল বা
চোখ লাল হয়ে যায়, জ্বরের সাথে যদি
প্রচণ্ড মাথা ব্যথা থাকে কিংবা
জ্বরের সাথে যদি রোগী প্রলাপ বকতে
থাকে, তবে বেলেডোনা তাকে উদ্ধার
করবে নিশ্চিত। বেলেডোনার জ্বর
সাধারণত হঠাৎ মারাত্মক আকারে দেখা
দেয় এবং জ্বরের তীব্রতায় খুবই দ্রুত
রোগী প্রলাপ বকতে শুরু করে। রোগী
ভয়ঙ্কর সব জিনিস দেখে, ভয়ে পালাতে
চেষ্টা করে এবং অনেক সময় মারমুখী
হয়ে উঠে।
Gelsemium sempervirens :
জেলসিমিয়ামের জ্বরের প্রধান লক্ষণ
হলো রোগীর মধ্যে ঘুমঘুম ভাব থাকে
বেশী, রোগী অচেতন-অজ্ঞান-বেহুশের
মতো পড়ে থাকে। দেখা যাবে গায়ে
প্রচণ্ড জ্বর অথচ রোগী নাক ডেকে
ঘুমাচ্ছে। জেলসিমিয়ামের জ্বরে মাথা
ঘুড়ানি থাকে, শরীর ভারভার লাগে,
শরীর ব্যথা এবং দুর্বলতা থাকে।
মাত্রাতিরিক্ত দুর্বলতার কারণে রোগী
নড়াচড়া করতে পারে না এবং একটু
নড়াচড়া করতে গেলে শরীর কাঁপতে
থাকে। জ্বরের সময় পিপাসা থাকে না।
Baptisia tinctoria : টাইফয়েড জ্বরের ঔষধ
হিসেবে বেপ্টিশিয়ার খুব সুনাম আছে।
মাতালের মতো হাবভাব, গোলাটে
চাহনি, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা এবং
সারা শরীরে টনটনে ব্যথা এই ঔষধের
অন্যতম লক্ষণ। রোগীর শরীরে ব্যথা এত
বেশী থাকে যে, খুব নরম বিছানাও তার
কাছে শক্ত মনে হয়। রোগীর শরীরে
দুর্বলতা-অবসন্নতা থাকে অকল্পনীয়
রকমের বেশী। চোখের পাতা পর্যন্ত
ভারী ভারী লাগে। চেতনার খুবই অভাব।
যেমন ডাক্তার কিছু জিজ্ঞেস করলে
উত্তর দেওয়ার পুর্বেই রোগী ঘুমিয়ে
পড়ে। কোন ব্যাপারেই রোগী তার
মনোযোগ ঠিক করতে পারে না। রোগী
মনে করে তার শরীর দুইটা; আবার মনে
করে তার শরীর টুকরা টুকরা হয়ে
বিছানায় ছড়িয়ে আছে এবং সে
টুকরাগুলো একত্র করে জোড়া লাগানোর
চেষ্টা করে।
Arsenicum album : শরীরের নির্দিষ্ট কোন
স্থানের রোগের সাথে যদি জ্বর আসে,
সেখানে ঘা-ক্ষত-পচনের সৃষ্টি হয়,
রোগীর মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা এবং
মৃতুভয় থাকে, সেক্ষেত্রে আর্সেনিক
প্রয়োগে যাদুর মতো ফল পাওয়া যাবে।
রোগীর বাইরে থাকে ঠান্ডা কিন্তু
ভেতরে থাকে জ্বালা-পোড়া। গরম
পানি খাওয়ার জন্য পাগল কিন্তু
খাওয়ার সময় খাবে দুয়েক চুমুক। বাসি-
পচাঁ-বিষাক্ত খাবার খেয়ে জ্বর হলে
অথবা অন্য যে-কোন সমস্যা হলো
আর্সেনিক খেতে ভুল করবেন না।
Veratrum viride : ভিরেট্রাম ভিরিডি-র
জ্বরের লক্ষণ অনেকটা একোনাইটের মতো
মারাত্মক। তবে এতে বুক ধড়ফড়ানি
থাকে বেশী এবং জিহ্বার মাঝখানে
টকটকে লাল একটি দাগ থাকে।
Pulsatilla pratensis : পালসেটিলার জ্বরের
প্রধান লক্ষণ হলো গলা শুকিয়ে থাকে
কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না।
অন্যান্য লক্ষণ হলো শীত শীত ভাব
বেশী থাকে, ঘুমঘুম ভাব থাকে এবং
বিকাল দুটা-তিনটার দিকে জ্বর বৃদ্ধি
পায়। শরীরের এক অংশ গরম এবং অন্য
অংশ ঠান্ডা থাকে। গরম, আলো-
বাতাসহীন, বদ্ধ ঘরে বিরক্ত বোধ করে।
হাতে জ্বালাপোড়া থাকে, ফলে সেটি
বিছানার ঠান্ডা জায়গায় রাখার
চেষ্টা করে। ঠান্ডা বাতাস, ঠান্ডা
খাবার, ঠান্ডা পানি পছন্দ করে।
আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এমন
লোকদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য।
Antimonium tartaricum : এন্টিম টার্টের
জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বরের সাথে
পেটের কোন না কোন সমস্যা থাকবেই।
ইহার জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো জিহ্বায়
সাদা রঙের মোটা স্তর পড়বে এবং বমি
বমি ভাব থাকবে। তাছাড়া দুর্বলতা,
শরীরের ভেতরে কাঁপুনি, ঘুমঘুম ভাব,
বুকের ভেতরে প্রচুর কফ ইত্যাদি থাকতে
পারে।
Ferrum phosphoricum : ফেরাম ফস ঔষধটি
যে-কোন জ্বরের প্রথম দিকে ব্যবহার
করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সাধারণত যারা ভীতু, সেনিসিটিভ এবং
রক্তশুণ্যতায় ভোগে তাদের জ্বরে
ফেরাম ফস ভাল কাজ করে।
Mercurius solubilis : মার্ক সল ঔষধটির
জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয়
কিন্তু রোগী আরাম পায় না। কারণ ঘাম
দিয়ে জ্বর নেমে যাবে এটাই স্বাভাবিক
কিন্তু জ্বর নামে না। তাছাড়া ঘামে
দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে। রোগী
ঠান্ডা পানির জন্য পাগল। জ্বর রাতের
বেলায় বেড়ে যায়। মুখের লালা বৃদ্ধি
পায়। ঘামে যাদের কাপড়ে হলুদ দাগ
পড়ে যায়, তাদের যে-কোন রোগে মার্ক
সল উপকারী। আবহাওয়া পরিবর্তনের
ফলে যে-সব জ্বর হয়, তাতে মার্ক সলের
কথা প্রথমে চিন্তা করতে হবে।
Natrum muriaticum : সর্দি জ্বর এবং যে-সব
জ্বর একবার পুরো সেরে যায় এবং আবার
দেখা দেয় (সবিরাম জ্বর/ম্যালেরিয়া)
তাতে নেট্রাম মিউর কাযর্কর। নেট্রাম
মিউরের জ্বরে প্রচণ্ড মাথাব্যথা থাকে।
ঠোটের মধ্যে ফোস্কা পড়ে। সাধারণত
সকাল ৯টা থেকে ০১টার দিকে জ্বর আসে
এবং একদিন পরপর আসে।
Phosphorus : ফসফরাসের জ্বরের প্রধান
লক্ষণ হলো রোগী বরফের মতো কড়া
ঠান্ডা পানি খেতে চায়, হাতের তালুতে
জ্বালাপোড়া করে এবং একা থাকতে ভয়
পায়। তাছাড়া মেরুদন্ড থেকে মনে হয়
তাপ বেরুচ্ছে, বুক ধড়ফড়ানি, উৎকন্ঠা
থাকে। জ্বর সন্ধ্যার দিকে বৃদ্ধি পায়।
সন্ধ্যার দিকে রোগী খুব অস্থির থাকে।
Phosphoricum acidum : ফসফরিক এসিডের
জ্বরের রোগী হয় নির্বোধের মতো, তার
চারপাশে যা কিছু ঘটছে সেদিকে তার
কোন খেয়াল থাকে না। রোগী কথা
বলতে চায় না। জ্বরের সাথে ডায়েরিয়া
থাকে এবং কখনও কখনও মারাত্মক
ডায়েরিয়া থাকে। অত্যধিক গ্যাস জমে
পেট ফেঁপে থাকে। সাধারণত অত্যধিক
যৌনকর্ম করে দুর্বল হয়ে পড়া লোকদের
মধ্যে এই জাতীয় লক্ষণ দেখা যায়।
Sulphur : সালফারের জ্বরের প্রধান লক্ষণ
হলো রাতের বেলা রোগীর পায়ে
জ্বালাপোড়া থাকে। ফলে ঘুমের সময় সে
তার পা দুটি লেপ-কাঁথার বাইরে বের
করে রাখে। তাছাড়া যথেষ্ট পিপাসা
থাকে এবং জ্বর সকাল ১১টার দিকে বৃদ্ধি
পায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন
সময় গরম হয়ে উঠে।
China officinalis : চায়নার জ্বর হলো
সবিরাম জ্বর যাতে একবার জ্বর ওঠে
এবং তারপর জ্বর পুরোপুরি সেরে যায়
এবং তারপর পুণরায় জ্বর ওঠে
(ম্যালেরিয়ার মতো)। জ্বর আসে
প্রতিদিন বা একদিন পরপর তবে এক ঘণ্টা
আগে। যেমন গতকাল যদি সকাল দশটায়
জ্বর এসে থাকে তবে আজ আসবে সকাল
নয়টায় এবং আগামীকাল আসবে সকাল
আটটায়। জ্বরের তিনটি অধ্যায় থাকে-
প্রবল শীত, জ্বর এবং প্রচুর ঘাম। চায়নার
ম্যালেরিয়া জ্বর কখনও রাতে আসে না।
Eupatorium perfoliatum : ইউপেটোরিয়াম
পারফো প্রধানত ডেঙ্গু জ্বরে ব্যবহৃত হয়।
কেননা এতে ডেঙ্গু জ্বরের মতো প্রচণ্ড
শরীর ব্যথা আছে। শরীরে এমন প্রচণ্ড
ব্যথা থাকে যেন মনে হয় কেউ শরীরের
সমস্ত হাড় পিটিয়ে গুড়োঁ করে দিয়েছে।
সাধারণত পিঠে, মাথায়, বুকে, হাত-
পায়ে এবং কব্জিতে বেশী ব্যথা হয়।
পানি বা খাবার যাই পেটে যায় সাথে
সাথে বমি হয়ে যায়। আইসক্রীম বা
ঠান্ডা পানি খেতে ইচ্ছে হয়। রোগী
খুবই অস্থির থাকে, এক মুহূর্ত স্থির হয়ে
বসতে পারে না। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা
সিজনাল ভাইরাস জ্বরেও যদি প্রচণ্ড
শরীর ব্যথা থাকে তবে ইউপেটোরিয়াম
প্রযোজ্য।
Thuja occidentalis : যে-কোন টিকা
(বিসিজি, ডিপিটি, পোলিও ইত্যাদি)
নেওয়ার কারণে জ্বর আসলে তাতে থুজা
একটি অতুলনীয় ঔষধ। তাছাড়া জ্বরের
মধ্যে কেউ যদি ‘উপর পড়ে যাওয়ার’ স্বপ্ন
দেখে, তবে সেটি যেই নামের জ্বরই হোক
না কেন, থুজা তাকে নিরাময় করে
দিবে।
Chininum sulphuricum : যে-সব জ্বর খুব টাইম
মেনে চলে অর্থাৎ ঘড়ির কাটায় কাটায়
উঠে এবং নামে, তাতে চিনিনাম সালফ
প্রযোজ্য। মাথা ব্যথা মাথার পেছন
থেকে কপালের দিকে আসে। ব্ল্যাক
ওয়াটার ফিভার বা কালা পানির জ্বর
নামে এক ধরণের মারাত্মক ম্যালেরিয়া
জ্বরে এটি উপকারী যাতে লাল বা
কালো রঙের প্রস্রাব হয়ে থাকে। জ্বর
ওঠার পূর্বে কাঁপিয়ে শীত লাগার সময়
কোন রক্তনালী ফোলে ওঠা চিনিনাম
সালফের একটি প্রধান লক্ষণ।
Sambucus nigra : জ্বরে স্যাম্বুকাস
নাইগ্রার প্রধান লক্ষণ হলো ঘুমের মধ্যে
রোগীর শরীর থাকে শুকনা এবং গরম
কিন্তু ঘুম ভেঙে গেলে ভীষণ ঘামতে
থাকে এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়।
কাশি বা অন্য কোন রোগেও যদি এই
লক্ষণ থাকে, স্যাম্বুকাস প্রয়োগে সেটি
নিরাময় হবে।
Indigo : সাধারণত কৃমির উৎপাতের কারণে
জ্বর হলে ইন্ডিগো ভালো কাজ করে। যে-
কোন কৃমির ঔষধই গর্ভবতীদের খাওয়ানো
নিষিদ্ধ, তেমনি এটিও।
Opium : সাধারণত ভয় পাওয়ার কারণে
কোন রোগ হলে তাতে ওপিয়াম প্রয়োগ
করে ভালো ফল পাওয়া যায়। একইভাবে
ভয় পাওয়ার কারণে জ্বর আসলে তাতে
ওপিয়াম প্রয়োগ করতে হবে।

Friday, November 11, 2016

বয়ঃসন্ধি কালের সমস্যায় হোমিও চিকিৎসা

বয়ঃসন্ধি কালে মেয়েদের শারীরিক সমস্যায়
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
* মেয়েটি তার লক্ষণ প্রকাশ করতে প্রায়ই কান্না
করে। সাধারণত মেয়েটি ভাল স্বভাবের হয়। -
Puls.
* মাসিকের ঠিক পূর্বে পা ভেজানো থেকে
মাসিকে সমস্যা। - Puls.
* প্রথম মাসিকে বিলম্ব বা দেরি। - Puls.
* মাসিকের সময় বা পরে ডায়রিয়া। - Puls.
* রজঃস্রাব অসঙ্গতভাবে বিলম্বিত এবং সঠিক বয়সে
শুরু হয় না। - Puls.
* রক্তশূন্যতা থাকলে মেয়েটি অদ্ভুত খাবার খায়
এবং অদ্ভুত খাবার খেতে চায় যেমন- চুল, ময়লা বা
বালি ইত্যাদি। - Alum.
* বিষাদ, স্নেহের অভাবে হতাশায় ভুগলে। - Ant-
c.
* সেরিব্রাল এবং মাথার উপসর্গের সঙ্গে তরুণ
মেয়েদের রজঃস্রাব চাপা পড়লে। এতে কম বা
বেশি শোথ থাকে। - Apis
* অল্প বয়স্ক মেয়েদের রজঃকষ্ট
(Dysmenorrhoea)। - Aquilegia
* বয়ঃসন্ধিতে মেয়েদের মৃগী এবং
আক্ষেপজনক রোগের পরিস্থিতিতে। - Artem-
v.
* অল্প বয়স্ক মেয়েদের মধ্যে হৃদপিন্ডে
প্যালপিট্যাশন। উচ্চ রক্তচাপ। - Aur.
* বয়ঃসন্ধিতে গর্ভধারনহীন মেয়েদের স্তন
থেকে দুধ নিঃসরন এবং স্তন স্ফীত ( ফোলা )
হয়ে যায় - Asaf.
* বয়ঃসন্ধিতে ফুস্কুড়ি (pimples) হওয়ার স্বভাব -
Aster.
* বয়ঃসন্ধি সময়ে মেয়েদের নিশ্বাসে নোংরা
গঁন্ধ এবং মাড়ির ক্ষত - Aur.
* গলার বার বার ক্ষত হওয়ার প্রবণতা (quinsy)।
পেশীর সঙ্কোচন (Muscular atrophy)। -
Bar-c.
* মাসিকের সময় নাক থেকে ঘন ঘন রক্তপাত
প্রদর্শিত হয়। - Bry.
* রজঃস্রাব খুব তাড়াতাড়ি, খুব বেশী, অতি দীর্ঘ। -
Calc.
* পৃষ্ঠশূল (Backache) এবং সাদা স্রাব। - Ova Tosta
* বয়ঃসন্ধিতে গলগণ্ড । - Calc-i.
* স্কুলের মেয়েদের মাথা ব্যাথা। - Calc-p.
* বিয়ে করার জন্য খুবই ইচ্ছা (Burning desire)। -
Caust.
* দ্রুত স্তন সঙ্কোচিত হয়। খুব বড় স্তন এবং
স্তনে টিউমার যার মধ্যে তীক্ষ্ণ ব্যথা থাকে। -
Chim-u.
* বয়ঃসন্ধিতে রক্তহীন মেয়েদের মধ্যে
ব্রণ। - Cycl.
* বয়ঃসন্ধি সময়ে মেয়েদের মধ্যে বড় পেট
সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য। স্তন ফোলা ও শক্ত।
স্তনের বোটা কালশিটে বা ক্ষত , ফাটাফাট এবং
ফুস্কুড়িযুক্ত। মৈথুনে (coitus) অনিচ্ছা। - Graph.
* পিঠে ব্যথা যুক্ত ক্লান্ত নারী। যৌনাঙ্গে
চুলকানী, স্তন ফোলা, স্তনবৃন্ত বেদনাদায়ক এবং
স্পর্শকাতর। - Helon.
* অল্পবয়সী মেয়েদের মাসিকে বিলম্বসহ
বুকের সমস্যা অথবা এসাইটিস (ascites)। প্রথম
মাসিকে অনেক কষ্ট। টিউবারকোলার প্রবণতা
আছে। - Kali-c.
* দুর্বল ও ক্লান্ত। বিশেষ করে তরুণীরা
আক্রান্ত। চরম অবসাদ ও বিষণ্নতা . ছাত্রদের মাথা
ব্যাথা যা ক্লান্তি দ্বারা সৃষ্ট। শ্বাস গঁন্ধযুক্ত,
দুর্গন্ধময়। - Kali-p.
* বয়ঃসন্ধিতে কোষ্ঠকাঠিন্য। স্তনের উন্নতি কম
( non-development of breast), একটি মেয়ে ১৫
থেকে ১৮ বছর বয়স ছুঁয়েছে কিন্তু এখনো
মাসিক শুরু হয়নি। - Lyc.
* মাসিকের সময় স্তন দুধে পরিপূর্ণ থাকে। -
Merc-s.
* স্তন খুব ছোট এবং দুধ ছাড়া। - Nux-m.
* মহিলা যৌন ইচ্ছা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। -
Onos.
* মহিলাদের হিংসাত্মক (Violent) যৌন উত্তেজনা। -
Ferula Glauca
* হস্তমৈথুন এবং অতিরিক্ত যৌন ইচ্ছায় কার্যকর। - Orig.
* লম্বা পাতলা মেয়েদের নাসিকা হইতে রক্ত-
ক্ষরণ। - Phos.
* বুকের(স্তন) ত্রুটিপূর্ণ উন্নয়নের সঙ্গে
বিলম্বিত বয়ঃসন্ধি। - Pituitary.
* বয়ঃসন্ধি আগেই হস্তমৈথুন এবং এর খারাপ প্রভাব। -
Plat.
* অনুন্নত স্তন গ্রন্থি। মাসিক বা জরায়ু অন্য
রোগের কারণে স্তন সঙ্কুচিত হ্য়। - Sabal-s.
* রজঃস্রাব বাধাপ্রাপ্ত, চাপা পড়লে। পৃষ্ঠশূলের
সঙ্গে তরুণী মেয়েদের মাসিক না হওয়া। -
Senecio.
* জরায়ু এবং যোনির স্থানচ্যুতি। বিশেষ করে,
রতিক্রিয়ার সময় যোনি বেদনাদায়ক । - Sep.
* যৌন বিষয়ে দ্বৈত মনোভাব - Staph.
* বয়ঃসন্ধি সময়ে মেয়েদের বড় পেট।
যোনির মধ্যে জ্বালা। - Sulph.
* অল্পবয়সী মেয়েদের নিয়মিত মাসিক প্রবাহ
সহায়ক। - Turnera.
* স্নায়ুমূলঘটিত রজঃকষ্ট, সাথে স্নায়ুমূলঘটিত মাথা
ব্যাথা। মানসিক বিষণ্নতা। - Xanth.
* বয়ঃসন্ধি বিলম্বিত। - Zinc.
দ্রষ্টব্যঃ
উপরে প্রদত্ত তথ্য কোন চিকিত্সকের
পরামর্শের জন্য, চিকিৎসকের পরিবর্তে
ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নয়। অতএব,
রোগীদের অবশ্যই একজন যোগ্যতাসম্পন্ন
হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সকের পরামর্শ এবং তাঁদের
সঠিক দিক নির্দেশনা নিয়ে চিকিত্সা নেওয়া খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।

মেয়েদের যৌনরোগ

মেয়েদের যৌন রোগ এবং এর প্রতিকার
যৌন মনোবিজ্ঞান -
Sexual
Psychology
বিবাহ পূর্ব যৌন
মিলনে নারীরা
যে সমস্যাতে
ভোগে
HIV - AIDS কি?
এইডস্ সম্পর্কে
জানুন এবং সচেতন
হন
পুরুষের যৌন
দুর্বলতা এবং সমাধান
তথ্যটি আপনার কাছে কিছুটা হলেও শিক্ষনীয় অথবা
উপকারী মনে হলে, নিচের ফেইসবুক ,
গুগলপ্লাস , টুইটার ইত্যাদি বাটনে ক্লিক করে শেয়ার
দিয়ে আপনার বন্ধুদেরও জানিয়ে দিবেন আশা রাখি।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন । আনন্দময়
হোক আপনার প্রতিটি ক্ষণ। ধন্যবাদ।
অন্য পাঠকরা এখন যে নিবন্ধগুলি
পড়ছেন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১২ থেকে ২০
বছরের মেয়েদেরকে যুবতী বলা হয়।
এই সময়ের মধ্যে মেয়েরা শারীরিক এবং
মানসিক পূর্ণতা লাভ করে থাকে। যুবতী
মেয়েদের সাধারণ যৌন রোগ
সমস্যাগুলো হলো-
1. ঋতু স্রাব সমস্যা
2. সাদা স্রাব
3. তলপেট ও কোমরে ব্যথা
ঋতু স্রাব সমস্যাকে নিম্নের কয়েক ভাগে
ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে।
একবারে মাসিক না হওয়া
অনিয়মিত মাসিক হওয়া
অতিরিক্ত রক্তস্রাব হওয়া
যেসব যুবতীর মাসিক নিয়মিত হয় বুঝতে
হবে তাদের ডিমগুলো সময়মতো ফুটে
থাকে। আমাদের দেশে শতকরা ৩০
থেকে ৪০ জন মহিলার নিদিষ্ট সময়ের
মধ্যে মাসিক আরম্ভ হয় না। আবার অনেক
যুবতীর মাঝে মাঝে অথবা কখনো
কখনো একটু আধটু রক্তস্রাবের মতো
হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে প্রচুর স্রাব
হয়ে থাকে। এসব যুবতী ও তাদের মা, খালা
এবং অন্যান্য মহিলা আত্মীয় অত্যন্ত
দুশ্চিন্তায় থাকেন।
চিকিৎসকেরা মনে করেন এর প্রধান কারণ
হলো
অসচেতনতা
অজ্ঞতা
মাসিকের স্থায়িত্বকাল এবং পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে
কত তা জানা নেই বলেই এই চিন্তা আরো
বেশি হয়। Physiology কারণ ছাড়া অন্যান্য
কারণেও প্রচুর পরিমাণ রক্তস্রাব এবং
দীর্ঘস্থায়ী স্রাব হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী স্রাবের আরো কারণ
হলো এর জরায়ুর মুখে মাংস বেড়ে যাওয়া,
যোনিপথে প্রদাহ, ডিম্বের থলিতে টিউমার।
এ ছাড়া যদি রক্তের মধ্যে কোনো
রোগ থাকে যেমন হেমোফাইলিয়া,
পারপুরা তাতেও বেশি স্রাব হতে পারে।
শতকরা ৪০ থেকে ৫০ জনের কোনো
প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, কেবল
উপদেশের মাধ্যমেই আরোগ্য লাভ
করে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত
চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপশম করা সম্ভব। কারণ
যাই হোক না কেন যুবতী মেয়েদের
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাসিকের সময় তলপেট ব্যথা: শতকরা প্রায় ৭০
থেকে ৮০ জন যুবতী মাসিক আরম্ভ হওয়ার
আগে অথবা মাসিক চলাকালে তলপেট,
কোমরে অথবা উরুতে ব্যথা অনুভব করে
থাকে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে
যাদের মাসিক আরম্ভ হওয়ার দু-তিন দিন আগে
প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে তারা সাধারণত
অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক অ্যাডিহিসন,
জরায়ুতে যক্ষ্মার জন্য হতে পারে। এই
ধরনের যুবতীদের অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ এবং চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।
হরমোনের তারতম্যের কারণে তলপেট
ভারী অনুভব করা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা,
খাদ্যে অরুচি হওয়া, মাথাব্যথা করা, খিটখিটে
মেজাজ, শরীর ব্যথা, এমনকি হাত পা ফুলে
যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। এ জন্য কোনো
প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। কেবল
চিকিৎসকের পরামর্শ এবং উপদেশ গ্রহণের
মাধ্যমেই যুবতীরা উপশম থাকতে পারে।
সাদা স্রাব: সাদা স্রাব যুবতীদের একটি স্বাভাবিক
ঘটনা। এ জন্য মেয়েদের কোনো
প্রকার দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কোনো
প্রকার কারণ ছাড়াই সাদা স্রাব হতে পারে এবং
তবে মাসিক আরম্ভ হওয়ার দুচার দিন আগে এর
পরিমাণ একটু বেশি হতে পারে। পুষ্টিহীনতা,
যৌনাঙ্গে প্রদাহ, বেশি যৌন উত্তেজনা,
হস্তমৈথুন, যৌন কার্যে অভ্যস্ত ইত্যাদির
কারণে বেশি সাদা স্রাব হতে পারে। এমনকি
জরায়ুর মুখে মাংসপিণ্ড অথবা ঘা হলে সাদা
স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
কেবল নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের
মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুফল লাভ
করা যায়।
মেয়েদের (যুবতী) তলপেট ব্যথা:
বেশি সংখ্যক যুবতী মেয়ে তলপেট ও
কোমর ব্যথার কথা বলে থাকে।
প্রকৃতপক্ষে এটা মানসিক অনুভূতি। তবে
প্রচণ্ড ও অস্বাভাবিক ব্যথা হলে অবশ্যই এর
কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা
নিতে হবে। যেসব কারণে মারাত্মক ব্যথা
হতে পারে তা হলো
Appendicitis (অ্যাপেন্ডিসাইসাটিস)
Ovarian Cyst (ডিমের ভেতর পানি জমে
যাওয়া)
হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া
মাসিকের রাস্তা বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া
ডিম্বনালী অথবা ডিম্বথলির ভেতরে গর্ভ
লাভ করা
Cyst যদি হঠাৎ ফেটে যায় অথবা পেঁচিয়ে যায়
জরায়ুর ভেতর টিউমার হওয়া
যোনিপথে হারপিচ নামক এক প্রকার ভাইরাস
দ্বারা আক্রান্ত হওয়া।
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে
দ্রুত পরামর্শ নিতে হবে। না হলে
জীবনের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে
পারে।
আমাদের দেশে যুবতী মেয়েদের
স্বাস্থ্য সমস্যা:
আমাদের দেশে যুবতী মেয়েদের
সংখ্যা প্রায় এক-চতুর্থাংশ। যেহেতু মানসিক এবং
শারীরিক পরিবর্তন ১২ থেকে ২০ বছরের
মধ্যেই বেশি হয়ে থাকে তাই তাদের
ক্ষেত্রে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রতি
যথেষ্ট সচেতন হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
আমার মতে যুবতী মেয়েদের জন্য
প্রজনন স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব
দিয়ে একটা পৃথক মন্ত্রণালয় অথবা দফতর তৈরির
মাধ্যমে যুবতী মেয়েদেরকে সেবা
প্রদান করা উচিত।